Description

মূল গ্রন্থটি পাঠ করার আগে কয়েকটি বিষয়ে পাঠকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইঃ

  • ১। এটি মাওলানা মওদুদীর নিজের কোনো মৌলিক হাদীস গ্রন্থ নয়, বরং এটি বিখ্যাত “মিশকাত মাসাবীহ” গ্রন্থের “ফাদায়েলুল কুরআন” ( কুরআনের মহত্ত্ব ও মর্যাদা ) অংশের ব্যাখ্যা।
  • ২। এই ব্যাখ্যাও মাওলানার নিজের হাতের লিখিত নয়, ( মাওলানা লাহোরে দারসে কুরআন ও দারদে হাদীস প্রদান করতেন। তাঁর এসব দারস সাপ্তাহিক “আইন” “এসিয়া” ও কাওসার পত্রিকায় সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশিত হতো ) এছাড়া অনেকে এগুলো টেপ রেকর্ডারের সাহায্যে রেকর্ড করে নিতেন।
  • ৩। ‘আইন’ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট এবং টেপ রেকর্ডার থেকে এ গ্রন্থটি সংকলন করেছেন জনাব হাফীযুর রহমান আহসান ( পাকিস্তান ) বক্তৃতা আকারে প্রকাশিত দারসকে তিনি গ্রন্থাকারে সাজিয়েছেন। এজন্যে তাঁকে কিছু সম্পাদনার কাজও করতে হয়েছে। এর আগে তিনি মাওলানার ‘রোযা’ সংক্রান্ত হাদিসগুলোর দারসও গ্রন্থাকারে সংকলন করে প্রকাশ করেছেন।
  • ৪। মাদ্রাসা এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকগণ যেভাবে ছাত্রদেরকে বিশেষ নিয়ম নীতি অনুসরন করে দারস দিয়ে থাকেন, কিংবা কোন মুহাদ্দিস যেভাবে হাদীসের ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করে থাকেন, এখানে সেরকম নিয়ম পদ্ধতি অনুসরন করা হয়নি। বরং এখানে উপস্থিত শ্রোতাদের মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখেই দারস পেশ করা হয়েছে।
  • ৫। একদিকে লিপিবদ্ধ গ্রন্থ এবং উপস্থিত শ্রোতাদের উপযোগী বক্তৃতা যেমন সমমানের হতে পারেনা, অপরদিকে পত্রিকার রিপোর্ট এবং টেপরেকর্ড থেকে বক্তৃতার সংকলন তৈরির ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি বিচ্চুতি থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সর্বোপরি এ সংকলন তৈরি হওয়ার পর মাওলানা নিজে দেখে দিতে পারেননি। তাই এ গ্রন্থতটকে মাওলানার নিজ হাতে লেখা অন্যান্য গ্রন্থের মাপকাঠিতে বিচার করা ঠিক হবেনা।
  • ৬। এ যাবত যে কথাগুলি বললাম, তাহলো গ্রন্থটি প্রনয়ন সংক্রান্ত। এখন বলতে চাই গ্রন্থটির উপকারীতার কথা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সাধারন পাঠকদের জন্যে গ্রন্থটি খুবই উপকারী প্রমানিত হবে। এতে রয়েছে একদিকে হাদীস অধ্যয়নের উপকারীতা আর অপর দিকে রয়েছে সহজ সরল ব্যাখ্যা লাভের উপকারীতা।
  • ৭। এই সংকলনটি যেহেতু পবিত্র কুরআন মাজীদের মহত্ত্ব ও মর্যাদা বিষয়ক, সে কারনে আমরা এর প্রথম দিকে মাওলানার বিখ্যাত তাফসীর “তাফহীমুল কুরআনের” ভুমিকা থেকে কুরআন সংক্রান্ত কিছু জরুরি কথা সংকলন করে দিয়েছি।